৬টি সকালের অভ্যাস জীবন বদলে দেবে / 6 Life Changing Morning Habits

                জীবন বদলানোর জন্য ৭টি সকালের অভ্যাস 

                     

                                                            

                 তিনি হাল এলরড। ১৯৯৯ সালের ২য় ডিসেম্বর একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘুষিত করে। ৬ মিনিট পর তার হার্ট কম্পন আবার শুরু হয়। ৬ দিন পর তিনি কোমা থেকে উঠেন। ডাক্তার বলেছিল তিনি আর কোনোদিন হাটতে পারবেন না কারণ তাঁর ১১টি হাড্ডি ভেঙে গিয়েছিল।
                  এই এক্সিডেন্ট এর কয়েক বছর পর তিনি একজন বেস্ট সেলিং লেখক , কি নোট স্পিকার এবং একজন আলট্রা মেরাথন রানার হয়ে উঠেন। মৃত থেকে বেঁচে উঠে ডাক্তার এর মত ভুল স্থাবিত করলেন। 
                  *কিভাবে তিনি এই স্থানে পৌছলেন ??
                 হাল বলেন এর জন্য প্রথমে তোমাকে ঘুম থেকে উঠতে হবে। কোমা থেকে ফিরে তিনি ৬টি সকালের অভ্যাস তৈরি করেন যেগুলি তিনি বিভিন্ন সফল লোকের জীবনকাহিনী পড়ে শিখেন এবং এগুলি তিনি রোজ সকালে করতে আরম্ভ করেন। 
                  হাল এলরদের লেখা বই "দ্য মিরাকল মর্নিং " থেকে নেওয়া ৬টি সকালের অভ্যাস আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি যেগুলি ফলো করলে আপনিও সফল হতে পারবেন। হাল এল্র্ড নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তার এই পরিবর্তন দেখে। 
                  তিনি এই ৬টি সকালের অভ্যাসকে সংক্ষেপে SAVERS বলতেন।
                  ১.S বলতে তিনি SILENCE বা নীরব থাকাকে বুঝান। এখানে তিনি ধ্যান বা প্রার্থনা করতে বলেছেন। ঘুম থেকে উঠে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যস্ত হয়ে যাই , সফল ব্যক্তিরা কিন্তু এগুলো করেন না। তাঁরা সকালে উঠে ধ্যান বা যোগ করেন যা তাদের মস্তিস্ক কে শান্তি দেয় আর পুরা দিন কাজ করতে তৈরি করে দেয়। 
                   ২.A বলতে AFFIRMATION বা কথন। জীবনে কি কি চান তা নিয়ে নিজে নিজে কথা বলুন। ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা বা অন্য সফল লোকেরা করে থাকেন। আপনি এগুলি একটি কাগজে  লিখে রাখতে পারেন। 
                ক। আপনি জীবনে কোন সময় কি কি চান ?
                খ। কেন এইগুলি পরিবর্তন চান ?
                গ। এগুলি পেতে হলে আপনি কি কি কমিটমেন্ট করতে পারেন ?
             একটি কাগজে এগুলি লিখে রোজ সকালে পড়েন। 
                  ৩. V মানে Visualization বা কল্পনা করা। Visualization হল Affirmation এর যমজ এর মত। আপনি আপনার যা যা স্বপ্ন আছে তা একটি খাতায় লিখেছেন , এখন এইগুলিকে কল্পনা করুন মানে ধরুন আপনি একটি কার কিনবেন , এখন ভাবুন আপনি কিনেছেন আর ড্রাইভিং করছেন। 
                  ৪. E বলতে Exercise কে বুঝিয়েছেন। আমরা সকলে জানি ব্যায়াম করাটা কতটুক প্রয়োজন কিন্তু নানা বাহানা দেখিয়ে করি না। বৈজ্ঞানিক মতে ব্যায়াম করলে আমাদের ব্রেইন এ বেশি অক্সিজেন সাপ্লাই হয় আর ব্রেইন এন্ডোরফিন তৈরি করে যা আমাদের চিন্তাধারা ঠিক করে , পুরা দিনের জন্য শক্তি যোগায়। 
                  ৫. R  মানে Reading বা পড়া। নিজের ব্যাক্তিত্ব বাড়ানোর জন্য বই পড়া ভালো একটা অভ্যাস। সুতরাং রোজ ভালো সফল মানুষের লেখা বই পড়তে আরম্ভ করুন। 
                   ৬. S বলতে Scribing বা লেখা কে বুঝিয়েছেন। রোজ কিছু সময়ের জন্য লিখতে বসুন। আপনার মনোভাব , চিন্তাধারা , কি কি পেয়েছেন , আর কি পেতে হবে , তার জন্য আপনার কি ইম্প্রোভ করতে হবে , কি শিখতে হবে ইত্যাদি। এই পদ্ধতি আপনার কাজে মনোযোগ লাগাতে সাহায্য করবে। 
                    এই রুটিন গুলি মানতে হলে আপনাকে প্রথমে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকাল ৮ টার আগে ১টি ১টি করে সবগুলি করে ফেলতে হবে। 
                  
                    

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

How to achieve your Target?/নিজের রাস্তা নিজেই তৈরী করুন

Life Changing Thought/ গল্পটি জীবন বদলে দেবে